বরেণ্য রাজনীতিক ও সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী — এনডিপির শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্মৃতিচারণ
বিভাগ: লাইভ সংবাদরিপোর্টার: Hasan Mahmud
বরেণ্য রাজনীতিক ও সাংবাদিক আনোয়ার জাহিদের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী — শ্রদ্ধায় স্মরণ করল এনডিপি
আজ (১৩ আগস্ট) দেশবরেণ্য রাজনীতিক, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা আনোয়ার জাহিদের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি)-এর চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের এবং দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এইচ এম আবু সাঈদ।
১৯৩৫ সালের ১২ জুন ঝিনাইদহের দাড়িয়া গোবিন্দপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আনোয়ার জাহিদ শৈশব থেকেই মেধা ও নেতৃত্বের গুণে সকলের মন জয় করেছিলেন। ঝিনাইদহ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাজীবনে তিনি রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ, ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নে নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক কারণে কারাবরণ তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৭৮ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টে যোগ দেন, ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়ে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৮৯ সালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীতে বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন আপসহীন নেতা, যিনি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধের পক্ষে অটল ছিলেন।
সাংবাদিক হিসেবেও তাঁর অবদান অনন্য। সাপ্তাহিক ধূমকেতু, দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, গণবাংলা, বাংলাদেশ টাইমস থেকে শুরু করে দৈনিক ইনকিলাব—সবখানেই তিনি কর্মদক্ষতা ও নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। একাধিক মেয়াদে ডিইউজির সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এনডিপি চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের বলেন—
> “আনোয়ার জাহিদ আজীবন আধিপত্যবাদীদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান নেতা, যার শূন্যতা আজও পূরণ হয়নি।”
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এইচ এম আবু সাঈদ বলেন—
> “তিনি ছিলেন গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারের অক্লান্ত যোদ্ধা। তাঁর জীবন দর্শন আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
এনডিপি পরিবার মনে করে—জাতীয় সংকটকালে আনোয়ার জাহিদের মতো একজন নেতার প্রজ্ঞা ও নেতৃত্ব আজও জাতির জন্য পথপ্রদর্শক হতে পারত। তাঁর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করছে পুরো এনডিপি পরিবার।